নারীবাদের কয়েক হাজার বছরের ইতিহাসের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে ‘পিতৃতন্ত্রের পতন’।
নারীকে প্রাকৃতিকভাবেই অধস্তন দেখাবার একটা চেষ্টা পুরুষতন্ত্রের সূচনা থেকেই ছিল। বহু কবি-দার্শনিক-রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও সমাজপতি দেখাতে চেয়েছেন যে, নাবীর চিন্তা করবার ক্ষমতা নেই, জ্ঞান নারীকে বিষিয়ে তোলে, সমাজের স্থিতিশীলতার জন্য প্রয়োজন নারীর সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়া। অন্যদিকে দর্শন-সাহিত্য-রাজনীতি, এমনকি যুদ্ধেও নারীরা যখনই সুযোগ পেয়েছেন, প্রমাণ করেছেন এর বিপরীতটাই সত্যি।
বিশ্বজুড়ে নারীর আজকের সংগ্রামের মূল প্রসঙ্গগুলো কী, কেন দেশে দেশে নারীরা পরস্পরের সাথে একাত্মতা বোধ করেন আর তাদের সংগ্রামের সহযাত্রী ও প্রতিপক্ষ কারা, সেই ছবিটিও পাঠকের সামনে মূর্ত করে তুলবে বইটি। গ্রন্থটি শুধু নারীর চোখে ইতিহাসকে দেখিয়ে দেয়নি, ভবিষ্যতের আগমনবার্তাও ঘোষণা করেছে।
মার্তা ব্রীন (জন্ম: ১৯৭৬) (নরওয়েজিয়ান উচ্চারণ: ব্রেয়েন) প্রখ্যাত নরওয়েজিয়ান ননফিকশন লেখক এবং সাংবাদিক যার ঝুলিতে এ পর্যন্ত বারোটি প্রকাশিত বই রয়েছে। অনেক বিষয়ের পাশাপাশি তিনি সংগীত, রাজনীতি এবং নারীর ইতিহাস নিয়ে বই লিখেছেন এবং বেশকিছু পুরস্কার জিতেছেন। ব্রীন/ইওর্ডাহলের সম্মিলিত কমিক বই Women in Battle (২০১৮) ২৭টি দেশে বিক্রি হয়েছিল এবং এজন্য মার্তা ব্রীন সার্বিয়া, জার্মানি, ইংল্যান্ড, রাশিয়া, হাঙ্গেরি এবং ব্রাজিলসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেছেন এবং নারীবাদ ও সমতার ওপর বক্তৃতা দিয়েছেন।