- Shop
- Autobiography, Biography and Memoirs
- স্মৃতির সাতকাহন
স্মৃতির সাতকাহন
এক আমলার আত্মকথা
https://uplbooks.com/shop/9844654602-22682 https://uplbooks.com/web/image/product.template/22682/image_1920?unique=dad0bdb
Book Info
আমার এ আত্মকথা সম্পূর্ণ স্মৃতিনির্ভর ও স্বহস্ত রচিত। ১৯৫৫ সাল থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত ভূতপূর্ব পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে আমলা হিসেবে কর্মপালন শেষে অবসর গ্রহণের পর এটা লিখতে আমার কয়েক বছর সময় লেগেছে। সরকার থেকে প্রেষণে ব্যাংককে জাতিসংঘের অন্যতম সংস্থা এসক্যাপ United Nations Economic and Social Commission for Asia and the Pacific (UNESCAP)-এ ১৯৯২ পর্যন্ত একটানা দেড় দশক কাজ করার পর ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত চুক্তিভিত্তিতে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (SEC)-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে পুনরায় কাজ করার সুযোগ পাই। খোদাতালা যদি সামর্থ্য দেন পরে ঐ সঙ্ঘদ্বয়ে আমার অভিজ্ঞতা বর্ণনার চেষ্টা করব। আশা করি সুধী পাঠকবৃন্দ একথা উপলব্ধি করবেন যে, এ ধরনের লেখার যথাযথ কালানুক্রমিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করা দুরূহ। আমার কিছু কিছু বক্তব্য হয়তো অনেকের কাছে বিতর্কিত ও অপ্রাসঙ্গিক প্রতীয়মান হতে পারে। কোনো কোনো বিষয়ে তথ্যগত ভুলত্রুটি, মুদ্রণ প্রমাদ এবং একঘেয়ে পুনরাবৃত্তিও বিচিত্র নয়। আমি সজাগ যে, আবেগের তাড়নায় লিখতে গিয়ে লেখাটির কলেবর কারো কারো কাছে বিরক্তিকরভাবে দীর্ঘ ঠেকতে পারে। এ জন্য সুধী পাঠকবৃন্দের কাছে অনুরোধ জানাই, তাঁরা যেন লেখার ত্রুটিবিচ্যুতি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে বিবেচনা করেন। স্মৃতিভাষ্য লিখতে গিয়ে দ্বিধান্বিত হয়ে ভেবেছি যে, আমার মতো অনেক আমলাই জীবনাভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন এবং আগামীতেও করবেন। একটি পশ্চাৎপদ সমাজে জন্মেও আমরা কেউ কেউ আমাদের সামাজিক ইতিবৃত্তের ক্ষুদ্রাংশ হতে পেরেছি, তবে আমার বিবেচনায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোনো ঐতিহাসিক মর্যাদালাভে ব্যর্থ হয়েছি। এই স্মৃতিচারণায় যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী সম্বন্ধে লিখতে গিয়ে কারো মনে পীড়া দিয়ে থাকি, সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমার হার্দিক শুভকামনা জানিয়ে তাঁদের সুখ-শান্তি ও দীর্ঘায়ুর জন্য পরম করুণাময়ের কাছে প্রার্থনা জানাই। বইটি প্রকাশের ব্যাপারে আমার পরম বন্ধুদ্বয় সাংবাদিক ও ছড়াকার ফয়েজ আহমদ ও খ্যাতমান সাহিত্যিক মুস্তাফা নূরউল ইসলাম আমাকে উৎসাহ যুগিয়েছেন। 'সাহিত্য প্রকাশ'-এর পরিচালক ও তাঁর সুযোগ্য সহকর্মীদের জানাই আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা
সুলতান-উজ জামান খান
সুলতান-উজ-জামান খান ছিলেন বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান আমলা ও লেখক, যিনি দীর্ঘ প্রশাসনিক জীবনে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৫৫ সালে পাকিস্তানের সিভিল সার্ভিসে (CSP) যোগদান করে সরকারি জীবনের সূচনা করেন। ১৯৭০ সালে যশোর জেলার জেলা প্রশাসক এবং খুলনা বিভাগের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে শিপিং, ইন্ডোর ওয়াটারওয়েজ ও এভিয়েশন মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে নিয়োগ পান। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। প্রশাসনিক দায়িত্বের পাশাপাশি তিনি লেখালেখিতেও সক্রিয় ছিলেন। তাঁর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ “স্মৃতির সাতকাহন : এক আমলার আত্মকথা”-এ কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা, রাষ্ট্রীয় নীতি-নির্ধারণ প্রক্রিয়া এবং স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশের প্রশাসনিক বাস্তবতার নানা দিক তুলে ধরেছেন। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত তিনি দেশের প্রশাসনিক ও সামাজিক অঙ্গনে